হাসপাতালের পরিত্যক্ত ওয়ার্ড - Abandoned hospital ward

হাসপাতালের পরিত্যক্ত ওয়ার্ড - Abandoned hospital ward

শহরের একদম কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত "সিটি হাসপাতাল"। এটি একটি বিশাল হাসপাতাল, যেখানে প্রতিদিন শত শত রোগী আসে চিকিৎসার জন্য। কিন্তু এই হাসপাতালের একটি কালো অধ্যায় আছে, যা অনেকের অজানা।

হাসপাতালের তৃতীয় তলায় একটি পরিত্যক্ত ওয়ার্ড আছে, যেখানে অনেক বছর আগে একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। একটি অগ্নিকাণ্ডে এই ওয়ার্ডের সব রোগী মারা গিয়েছিল। তারপর থেকে ওয়ার্ডটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

লোকেরা বলে ওয়ার্ডে এখনও সেই মৃত রোগীদের আত্মা ঘুরে বেরায়। রাতের বেলা ওয়ার্ড থেকে অদ্ভুত শব্দ শোনা যায় - কাউকে কাশতে শোনা যায়, কাউকে চিৎকার করতে শোনা যায়, কাউকে কান্নাকাটি করতে শোনা যায়। হাসপাতালের কর্মচারীরা রাতের বেলা তৃতীয় তলায় যেতে ভয় পায়।

একদিন রাতে হাসপাতালে কিছু জরুরি রোগী আসে। ডাক্তার এবং নার্সদের অনেক তাড়াহুড়ো করতে হয়। এই তাড়াহুড়োর মধ্যে কিছু রোগীকে তৃতীয় তলার পরিত্যক্ত ওয়ার্ডে রেখে দেওয়া হয়।

রাত প্রায় দুইটা। নার্স রহিমা রোগীদের দেখাশোনা করার জন্য তৃতীয় তলায় যায়। সে লিফট থেকে নেমে যখন ওয়ার্ডের দিকে এগিয়ে যায়, তখন সে একটি অদ্ভুত শব্দ শুনতে পায়। যেন কেউ তার নাম ধরে ডাকছে। রহিমা ভয় পেয়ে যায়। সে চারপাশে তাকায়, কিন্তু কেউ নেই।

রহিমা ওয়ার্ডে ঢোকে। ওয়ার্ডের ভেতর একটি অদ্ভুত গন্ধ। যেন অনেক দিন ধরে এখানে কেউ ঢোকেনি। রহিমা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে রোগীদের দিকে এগিয়ে যায়।

হঠাৎ সে দেখতে পায় একটি বেড খালি। যে রোগী এই বেডে ছিল, সে কোথায়? রহিমা আবার ভয় পেয়ে যায়। সে রোগীকে খুঁজতে শুরু করে।

রহিমা ওয়ার্ডের এক কোণে একটি ছায়া দেখতে পায়। ছায়াটি নড়ছে। রহিমা টর্চ লাইট নিয়ে ছায়াটির কাছে যায়। কাছে যাওয়ার পর সে দেখতে পায় ছায়াটি আসলে একজন মানুষ। মানুষটি একটি সাদা পোশাক পরে আছে। তার চুল অনেক লম্বা এবং ঝাঁকড়া। তার চোখ দুটো ফাঁকা।

রহিমা চিৎকার করে উঠে। মানুষটি রহিমার দিকে এগিয়ে আসে। রহিমা পিছিয়ে যায়। মানুষটি আরও কাছে আসে। রহিমা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু মানুষটি তাকে ধরে ফেলে।

রহিমার চিৎকার হাসপাতালের গলি বেয়ে বহুদূর যায়। অন্য ডাক্তার এবং নার্সরা দৌড়ে আসে। তারা রহিমাকে মানুষটির হাত থেকে ছাড়িয়ে আনে।

মানুষটি তাদের দিকে তাকিয়ে একটি ভয়ংকর হাসি হাসে। তারপর সে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়।

এই ঘটনার পর হাসপাতালের সবাই ভয় পেয়ে যায়। কেউ আর রাতের বেলা তৃতীয় তলায় যেতে সাহস করে না। পরিত্যক্ত ওয়ার্ড আরও রহস্যে ঘেরা হয়ে ওঠে।

কিছুদিন পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একজন "কবিরাজ" ডেকে আনে। কবিরাজ ওয়ার্ডে একটি পূজা করে। পূজার পর নাকি আর কোন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু হাসপাতালের কর্মচারীরা এখনও রাতের বেলা তৃতীয় তলায় যেতে ভয় পায়। তারা বিশ্বাস করে যে পরিত্যক্ত ওয়ার্ডে এখনও সেই মৃত রোগীদের আত্মা ঘুরে বেরায়।

Read more

সুন্দরবনের ভূতের গল্প: হারিয়ে যাওয়া পথ

সুন্দরবনের ভূতের গল্প: হারিয়ে যাওয়া পথ

শীতের এক সকাল। ঢাকা থেকে আসা একটি পরিবার - বাবা আসিফ, মা তানিয়া, এবং তাদের দুই সন্তান রিমি ও রনি - সুন্দরবনে বনভোজনে এসেছে। সকাল থেকেই

By কা,আন