হারিয়ে যাওয়া লাশ

হারিয়ে যাওয়া লাশ

সূর্য ডুবতে শুরু করেছে। লালচে আলোয় ছেয়ে গেছে পুরো শহর। এই আলোয় মুখোমুখি হচ্ছে রহস্যের এক অধ্যায়।

একটি অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে। বয়স্ক চালকের পাশে বসে আছে তার তরুণ সহকারী। তাদের গন্তব্য - মেডিকেল কলেজ। মর্গ থেকে একটি লাশ নিয়ে যেতে হবে তাদের।

অ্যাম্বুলেন্স মর্গে পৌঁছালে, ভেতরে প্রবেশ করে লাশের স্ট্রেচার বের করতে যায় তরুণ সহকারী। কিন্তু স্ট্রেচারে কোন লাশ নেই! সহকারী হতভম্ব, চোখ বড় বড় করে চেয়ে থাকে।

চালকও স্ট্রেচারটি পরীক্ষা করে। তার হাতে রক্তের দাগ লেগে। স্পষ্টতই, কিছুক্ষণ আগেও এখানে একটি লাশ ছিল। কিন্তু এখন সেটা কোথায়?

রহস্য আরও ঘনীভূত হয় যখন মর্গের কর্মীরা জানায়, লাশটি সাবধানে স্ট্রেচারে রাখা হয়েছিল। কেউ এটি নিয়ে যেতে পারে, এমন কোন সম্ভাবনা নেই।

চালক ও সহকারী ভয়ে কাঁপছে। তাদের মনে হচ্ছে, লাশটি হঠাৎ করে জীবিত হয়ে উঠে পালিয়ে গেছে!

কিন্তু এটা কি সম্ভব?

এই প্রশ্নের উত্তর কেউ জানে না। রহস্যের সমাধান হয় না।

অ্যাম্বুলেন্সটি ফাঁকা স্ট্রেচার নিয়ে ফিরে যায়। রাতের অন্ধকারে মিশে যায় রহস্যের আঁধার।

কিন্তু লাশটি কোথায় গেল?

এই প্রশ্ন আজও অনুত্তরিত।

এই ঘটনার পর চালক ও সহকারীর জীবন বদলে যায়। তারা আর কখনো মর্গে যেতে রাজি হয় না। রহস্যের ভয় তাদের মনে চিরস্থায়ী হয়ে যায়।

এই রহস্যের সমাধান হয়নি। হয়তো কখনোই হবে না। কিন্তু এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, এই পৃথিবীতে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে, যা আমরা কখনোই বুঝতে পারব না।

এই রহস্যের কিছু সম্ভাব্য ব্যাখ্যা:

  • লাশটি জীবিত ছিল: হয়তো লাশটি জীবিত ছিল, কিন্তু মৃত মনে করা হয়েছিল। মর্গে নিয়ে যাওয়ার সময় সে জীবিত হয়ে উঠে পালিয়ে যায়।
  • অতিপ্রাকৃত ঘটনা: হয়তো এটি একটি অতিপ্রাকৃত ঘটনা ছিল। লাশটি কোন অতিপ্রাকৃত শক্তির মাধ্যমে অদৃশ্য হয়ে গেছে।
  • মানুষের হাত: হয়তো লাশটি কোন মানুষ চুরি করে নিয়ে গেছে।

কোন ব্যাখ্যাটি সঠিক, তা কেউ জানে না। রহস্য রহস্যই থেকে যায়।

এই রহস্যের ভয় আমাদের মনে চিরস্থায়ী হয়ে থাকে।

Read more

রক্তজবা (The Red Hibiscus)

রক্তজবা (The Red Hibiscus)

এক ভুতুড়ে জমিদার বাড়ি, রক্তজবার অভিশাপ, আর রক্তির প্রতিশোধের ভয়ংকর গল্প "রক্তজবা"। বাংলার লোমহর্ষক লোককথার আবহে রচিত এই গল্প আপনাকে নিয়ে যাবে রহস্য আর ভয়ের অন্য এক জগতে।

কা,আন