কালো পতাকার ডাক

কালো পতাকার ডাক

গভীর রাত। ঝড়ের তীব্র বাতাসে কেঁপে কেঁপে উঠছে পুরোনো, জীর্ণ বাড়িটি। বৃষ্টির ঝাপটায় কাঁচের জানালায় বারবার ধাক্কা দিচ্ছে। ঝড়ের গর্জন আর বৃষ্টির তুমুল তান্ডবে ঘরের ভেতরের মানুষগুলোর মনে ভয়ের ছায়া ঘনীভূত হচ্ছে।

একাকী রুমে বসে আছে রুদ্র। ঝড়ের তীব্রতায় বারবার দুলছে ল্যাম্পের আলো। আলো-আঁধারে তার মুখের ভাব বারবার বদলে যাচ্ছে। হঠাৎ, ঘরের বাইরে থেকে ভেসে আসে এক অদ্ভুত শব্দ। কেঁপে ওঠে রুদ্র। কান পাতলে শোনা যায়, কে যেন বারবার খিলখিলিয়ে হাসছে।

ভয়ে শিউরে উঠে রুদ্র দরজার দিকে এগিয়ে যায়। দরজার ফাঁক দিয়ে বাইরে উঁকি মারতেই তার চোখে পড়ে ভয়ঙ্কর এক দৃশ্য। ঝড়ের বাতাসে উড়ছে এক অদ্ভুত, কালো পতাকা। পতাকার মাঝে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে একটা হাড়গোড়ের মুখ।

চিৎকার করতে চায় রুদ্র, কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হয় না। ভয়ে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সে। হঠাৎ, বাইরে থেকে দরজায় ধাক্কা আসে। কেঁপে ওঠে রুদ্র। ধাক্কাটা আরো তীব্র হয়। বারবার ধাক্কা খেয়ে দরজা কাঁপছে।

রুদ্র দৌড়ে বেরিয়ে আসে রুম থেকে। বাড়ির অন্য সকলকে ডাকে সে। কিন্তু কেউ সাড়া দেয় না। মনে হয় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। ভয়ে হতবুদ্ধি রুদ্র বুঝতে পারছে না কী করবে।

হঠাৎ, তার মনে পড়ে দাদুর কথা। দাদু বলেছিলেন, এই বাড়িতে এক ভয়ঙ্কর রহস্য লুকিয়ে আছে। অনেক বছর আগে এই বাড়িতেই রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছিলেন এক ধনী ব্যক্তি। তার মৃত্যুর পর থেকেই এই বাড়িতে ঘটতে থাকে অদ্ভুত ঘটনা।

ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে রুদ্র দৌড়ে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে। ঝড়ের তীব্রতায় ভেসে যাচ্ছে সে। রাতের অন্ধকারে হারিয়ে যায় তার চিৎকার।

পরের দিন সকালে গ্রামের লোকজন এসে দেখে, বাড়ির দরজা খোলা। ভেতরে সবকিছু এলোমেলো। কিন্তু রুদ্রকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। রহস্যের আঁধারে চিরতরে হারিয়ে যায় সে।

এরপর থেকে গ্রামের লোকজন আর কখনো সাহস করে সেই বাড়িতে যায়নি। আজও রহস্যের আঁধারে ঢাকা রয়ে গেছে রুদ্রের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা।

Read more

সুন্দরবনের ভূতের গল্প: হারিয়ে যাওয়া পথ

সুন্দরবনের ভূতের গল্প: হারিয়ে যাওয়া পথ

শীতের এক সকাল। ঢাকা থেকে আসা একটি পরিবার - বাবা আসিফ, মা তানিয়া, এবং তাদের দুই সন্তান রিমি ও রনি - সুন্দরবনে বনভোজনে এসেছে। সকাল থেকেই

By কা,আন